শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চলে একটি গির্জায় প্রার্থনা চলার সময় জোড়া বোমা হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
নিহতদের মধ্যে বেসামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় সুলু প্রদেশের জোলোতে জোলো ক্যাথেড্রালে বিস্ফোরণ দুটি ঘটে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
প্রার্থনা চলার সময় গির্জার ভিতরে প্রথম বিস্ফোরণের পর গাড়ি পার্কিং এলাকায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে।
হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক হলেও সাত সৈন্যও নিহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ফিলিপিন্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লোরেনজানা এ হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন। স্থানীয় জনগণকে সজাগ থেকে ‘সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করে জয়ী’ হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সামরিক বাহিনীর পশ্চিম মিন্দানাও কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল জেরি বেসানা জানিয়েছেন, বোমায় ব্যবহৃত উপাদানগুলো পরীক্ষা করলেই এর পেছনে কারা আছে তার রহস্য ভেদ হবে।
ফিলিপিন্সের জাতীয় পুলিশ প্রধান অস্কার আলবাইআলদে জানিয়েছেন, জঙ্গিগোষ্ঠী আবু সায়েফ এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
“তারা শান্তি-শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতে চায়, তার শক্তি প্রদর্শন করে বিশৃঙ্খলার বীজ বপণ করতে চায়,” রেডিওতে বলেছেন তিনি।
জোলোতে আবু সায়েফ গোষ্ঠীর শক্ত অবস্থান আছে। বোমা হামলা ও নৃশংসতার জন্য গোষ্ঠীটির কুখ্যাতি আছে। এই গোষ্ঠীটি জলদস্যুতা ও অপহরণের সঙ্গেও জড়িত।
খ্রিস্টান প্রধান ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা মিন্দানাও মুসলিম প্রধান। কয়েক দশক ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার কারণে অঞ্চলটিতে সংঘাত নিয়মিত ঘটনা। এই সংঘাত অবসানের আশায় গত সপ্তাহে অঞ্চলটিতে স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল।
গণভোটে প্রায় ৮৫ শতাংশ ভোটার স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে সমর্থন দিলেও অল্প যে কয়েকটি এলাকা স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাখ্যান করেছে সুলু তার মধ্যে অন্যতম।
আগামী তিন বছরের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে স্বায়ত্তশাসন চালু হলে ওই অঞ্চলটির নাম হবে ‘বাংসামোরো’; সুলুও এর অংশ হবে।